আপনিও সহজেই শিখতে পারেন সি প্রোগ্রামিং (পার্ট – ৩)

Posted: জুলাই 17, 2010 in প্রোগ্রামিং
ট্যাগসমূহ:, , , ,

লিখেছেনঃ কায়সার আহমেদ

“বিসমিল্লাহ-হির রহমানীর রহিম”।

ভেরিয়েবলের আউটপুট অপারেশনঃ-  প্রোগ্রাম ডেটা তথা ভেরিয়েবলের মান প্রদর্শন করাকে আউটপুট অপারেশন বলে। সি প্রোগ্রামে কোন ভেরিয়েবলের মান মনিটরের পর্দায় প্রদর্শনের জন্য printf ( ), putc ( ), puts ( ), putchar ( ) প্রভৃতি লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করা হয়।

printf ( ) ফাংশনঃ- printf ( ) একটি লাইব্রেরি ফাংশন, যার হেডার ফাইল হল stdio.h, এর জন্য প্রোগ্রামের শুরুতে #include<stdio.h> স্টেটমেন্টের মাধ্যমে মাধ্যমে এই হেডার ফাইল সংযুক্ত করা হয়েছে। printf ( ) ফাংশনের প্রথম বন্ধনীর মধ্যে ডবল কোটেশনের (“ ”) মধ্যে যা লেখা হয় প্রোগ্রামে নিবার্হে তা মনিটর স্কীনে তথা আউটপুট উইন্ডোতে প্রদর্শিত হয়।  নিচে একটি প্রোগ্রাম দেওয়া হলঃ

C programming 1

এখানে printf ( ) ফাংশনের ডবল কোটেশনের (“ ”) মধ্যে Welcome to C Programming. লেখা হয়েছে। যখন প্রোগ্রামটি রান করা হয়েছে তখন আউটপুট এ সেই লেখাটি দেখিয়েছে। প্রোগ্রামটি তে কোন ভুল আছে কিনা তা দেখার জন্য Alt + F9 চাপুন আর প্রোগ্রামটি রান করার জন্য Ctr + F9 চাপুন। তাহলেই প্রোগ্রামটি রান হবে।

C programming 2

ব্যাকস্লাশ ক্যারেক্টারঃ- বিশেষ কিছু ক্যারেক্টার আছে (যেমনঃ- \, \“,\n, \r, \t ইত্যাদি) যেগুলো printf ( ) ফাংশনের ডাবল কোটেশনের (“ ”) এর মধ্যে যেভাবে রাখা হয় হুবহু সেভাবে ফলাফল প্রকাশ করে না। এখানে কিছু ব্যাকস্লাশ ক্যারেক্টারের বণর্না দেওয়া হলঃ-

ব্যাকস্লাশ ক্যারেক্টার ব্যবহার
\n আউটপুট পরবর্তী (নতুন) লাইনের শুরুতে প্রদর্শনের জন্য।
\r আউটপুট পূরবর্তী লাইনের শুরুতে একই কলাম বরাবর প্রদর্শনের জন্য।
\t আউটপুট ডান দিকে এক ট্যাব দূরুত্বে প্রদর্শনের জন্য।
\“ ডাবল কোটেশন ক্যারেক্টার প্রদর্শনের জন্য।
\a সংকেত প্রদানের জন্য।

C programming 3

এখানে \n দেওয়ার জন্য নতুন একটি লাইন তৈরি হয়েছে।

ফরম্যাট স্পেসিফায়ারঃ- printf ( ) ফাংশন দ্বারা কোন ডেটা বা ভেরিয়েবলের মান প্রদর্শনের জন্য নিদির্ষ্ট ফরম্যাটের কতগুলো ক্যারেক্টার ব্যবহৃত হয় যেগুলোকে ফরম্যাট স্পেসিফায়ার বলা হয়। যেমনঃ int টাইপ ডেটা বা ভেরিয়েবলের মান প্রদর্শনের জন্য ফরম্যাট স্পেসিফায়ার হল %i বা %d, char টাইপ ডেটার জন্য %c ইত্যাদি।

ফরম্যাট স্পেসিফায়ার ব্যবহার
%c Charটাইপ মান ইনপুট/আউটপুট করার জন্য।
%d Integer টাইপ মান ইনপুট/আউটপুট করার জন্য।
%f Float টাইপ মান ইনপুট/আউটপুট করার জন্য।
%lf Double  টাইপ মান ইনপুট/আউটপুট করার জন্য।
%o Octal  টাইপ মান ইনপুট/আউটপুট করার জন্য।

C programming 4

এই প্রোগ্রামটি দ্বারা a, b, ও c যোগ করা হয়েছে।

সি প্রোগ্রামে পূর্ণসংখ্যা (যেমনঃ ২৩, ৫৬০০, -৯৮৪৫ ইত্যাদি) নিয়ে কাজ করার জন্য integer টাইপের ভেরিয়েবল ব্যবহার করা হয়। int টাইপ ভেরিয়েবল ঘোষনার জন্য int কীওয়ার্ড ব্যবহৃত হয়।

এখানে,

#include<stdio.h>

#include<conio.h>

উপরের দুই লাইন হলো হেডার ফাইল।

main()

{

দ্বিতীয় বন্ধনী দেওয়ার পর প্রোগ্রামের বডি লেখা হয়।

Int sum;

Int দিয়ে বোঝানো হচ্ছে যে আমার যে ডাটা নিয়ে কাজ করব তা পূর্ণ সংখ্যা হবে বা int এবং sum দ্বারা ভেরিয়েবল বোঝানো হয়েছে যার মধ্যে যোগফলটি থাকবে।

Int a,b,c;

a, b, ও c এর মান int টাইপের হবে তা বোঝানে হয়েছে। এবং পরে এদের মান দেওয়া হয়েছে। আপনি চাইলে এক সাথেই ভেরিয়েবলের মান ঘোষনা করতে পারেন। আর প্রতি প্রোগ্রামের শেষে অবশ্যই সেমিকলন (;) দিতে হবে। না হলে প্রোগ্রামে ভুল ধরবে।

এখানে  a, b ও c ভেরিয়েবলের পরে আলাদা ভাবে

a=32;

b=23;

c=33; মান নেওয়া হয়েছে। অাপনি চাইলে একসাথে মান নিতে পারেন বা int a=32,b=23,c=33; ।

sum=a+b+c;

এই লাইন দ্বারা  a, b, ও c কে যোগ করে sum এর মধ্যে থাকবে  তা দেখানো হয়েছে।

printf(“%d”, sum);

এই লাইনের জন্য আউটপুটে বা মনিটরে a, b, ও c এর যোগ ফল দেখাবে। %d দেওয়া হয়েছে ভেরিয়েবল গুলো হল int টাইপের সেই জন্য।

getch();

এই ফাংশন দ্বারা আউটপুটে মান অনেকক্ষণ ধরে রাখার জন্য দেওয়া হয়। যদি এই ফাংশন দেওয়া না হত তাহলে ও আউটপুটে রেজাল্ট দেখাত। তবে এত কম সময় যে বোঝা যেত না। তাই এই ফাংশন ব্যবহার করা হয়।

}

আর প্রোগ্রাম শেষ করতে দ্বিতীয় বন্ধনী ব্যবহার করা হয়।

নিচে একটি প্রোগ্রাম দেওয়া হল। আশা রাখি সহজেই বুঝতে পারবেন।

C programming 5

Source

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান